সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৭২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা অব্যবহৃত থেকে গেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় বাস্তবায়নের হার কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই ও অর্থছাড় সীমিত করায় অনেক চলমান প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে পড়ে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে এডিপি বাস্তবায়নে।
তবে ব্যতিক্রম হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শতভাগ বরাদ্দ বাস্তবায়ন করেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ (৯৮%), এরপর রয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও পানি সম্পদ বিভাগ।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে। ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকার বরাদ্দের বিপরীতে খরচ হয়েছে মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা, বাস্তবায়নের হার মাত্র ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৩২ শতাংশ, সরকারি কর্ম কমিশন ও ভূমি মন্ত্রণালয় ৩৭ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবায়ন ঘাটতির অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে প্রকল্প নির্বাচন ও অর্থছাড়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।